Saturday, May 22, 2021

বামপন্থার সেকাল একাল

_____________________________________________________________

(প্রবন্ধটি কয়েকটি পর্বে বিভক্ত এবং পর্বগুলি ঐক্যসূত্রে গাঁথা। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি পড়তে গেলে খাপছাড়া ঠেকতে পারে। তাই পাঠকের সুবিধার্থে প্রত্যেকটি পর্বের লিংক প্রবন্ধের শুরুতেই দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ) 

______________________________________________________


বহু মতে বামপন্থা (দ্বিতীয় পর্ব) 

লিখেছেন

অ নি ন্দ্য ভ ট্টা চা র্য

ছবি ইন্টারনেটের সৌজন্যে প্রাপ্ত



তবে বাস্তবতা হল, রাজনৈতিক অর্থনীতির যত বিবর্তন হয়েছে, ততই যেন বামপন্থী রাজনীতিরও নানান ধারা-উপধারা তৈরি হয়েছে। এক সময় ভাবাই যেত না যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশে বা কোনও রাজ্যে কমিউনিস্ট নামধারী কোনও সংগঠন শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে। গত ৫০ বছরের অনুশীলনে দেখা গেল, আমাদের দেশে তা সম্ভব। ১৯৫৯ সালে রাজ্য নির্বাচনে জিতে কেরলে নাম্বুদ্রিপাদের নেতৃত্বে অভিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম আঞ্চলিক সরকার তৈরি হয়। যদিও সে সরকারকে বেশিদিন চলতে দেওয়া হয়নি। তখন এমন একটা আশঙ্কা তৈরিও হয়েছিল যে, যদিও বা কমিউনিস্টরা (নিজেরা একক ভাবে হোক কি অন্যদের সাথে জোট করে) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও যান, তবুও সে সরকারকে এ দেশে চলতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সে চিন্তাকে কিছুটা আশাহত করে ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে দু’ দুবার পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্টদের (তখন পার্টি দু’ ভাগ হয়ে গেছে) নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সরকার অধিষ্ঠিত হয়। যদিও দুটি সরকারই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার কারণ অবশ্য যতটা না তাদের প্রতি ভারত সরকারের বিরাগ তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল যুক্তফ্রন্টের আভ্যন্তরীণ কোন্দল যা বহু জায়গায় রক্তাক্ত হানাহানিতে পর্যবসিত হয়। সে তর্ক বাদে, ১৯৭৭ সালে আবারও বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম নেতৃত্বাধীন জোট (এবার বামফ্রন্ট) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়। সেই সরকারকেও চলতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা ও আতান্তর ছিল। কিন্তু শ্ত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বামফ্রন্ট রাজ্য সরকারে শুধু এককালীন টিকে গেল না, উত্তরোত্তর আরও বেশি বেশি ভোট পেয়ে ও বারবার নির্বাচিত হয়ে সাত দফায় ৩৪ বছর ধরে একটানা রাজ্য শাসন চালিয়ে গেল। নিঃসন্দেহে এ ছিল এক অভিনব ঘটনা। পাশাপাশি, ত্রিপুরা ও কেরলেও বামফ্রন্ট তাদের একাধিপত্য বজায় রাখল (যদিও কেরলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতা খুইয়ে আবার তাদের পরের দফায় ফেরত আসতে হয়েছে। এই বছরই প্রথম দেখা গেল যে তারা পরপর দু’বার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পেরেছে)।  

এই অভিনব ঘটনার কোনও নিদর্শন মার্কসবাদের কোনও হ্যান্ডবুকে নেই। থাকার কথাও নয়। কারণ, এমনতর ঘটনা গোটা বিশ্বে খুব অল্পই ঘটেছে এবং তার স্থায়িত্বও অতি স্বল্পকালীনসম্প্রতি নেপালে নির্বাচনে জিতে সেখানকার কমিউনিস্ট পার্টি শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ মতান্তরের জন্য সে সরকারও টলোমলো। সে বাদে আরও কিছু কিছু বামপন্থী মনোভাবাপন্ন বা মার্কসবাদী দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেযেমন, ১৯৭০ সালে চিলিতে সালভাদোর আলেন্দে’এর নেতৃত্বে ‘পপুলার পার্টি’ একটি জোট গঠন করে নির্বাচনে জিতে সরকারে আসীন হয়কিন্তু সে সরকারকে টিকতে দেওয়া হয়নি। ১৯৭৩ সালে আমেরিকার মদতে একটি সামরিক ক্যু করে আলেন্দে’কে হত্যা করা হয় ও সামরিক প্রধান অগাস্টো পিনোশেট ক্ষমতা দখল করেন। অবশ্য, ভেনেজুয়েলায় ‘ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ ভেনেজুয়েলা’ পার্টির অবিসংবাদী নেতা হুগো সাভেজ ১৯৯৯ সাল থেকে পরপর তিনবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসীন হন এবং ২০১৩ সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেনশেষের দিকে তাঁর জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা এসেছিল। যদিও সাভেজ নিজেকে ‘মার্কসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু তাঁর পার্টি অন্যান্য ধ্রুপদী কমিউনিস্ট পার্টিগুলি ধরনের ছিল না। শুধু তিনি নন, এমত ধরনের নতুন ঘরানার বামপন্থী বা মার্কসবাদীদের নেতৃত্বে ব্রাজিল, ইকুয়েডর, বলিভিয়া প্রভৃতি দেশে তখন এক নতুন রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘোরতর বাস্তব। আর এদের সহায়ক শক্তি হিসেবে কিউবা’র অবিসংবাদী ভূমিকা ছিল অতুলনীয়।

অতএব, বোঝাই যাচ্ছে, বাস্তবতার কষ্টিপাথরে সংসদীয় রাজনীতির পথ ধরেই গত দু-এক দশকে সারা বিশ্ব জুড়ে এমন এক শক্তির উত্থান ও রাজনীতির উদয় হচ্ছে যা পুরনো ব্যবস্থা ও সনাতনী স্থবিরতাকে আঘাত করতে চাইছে বা তাকে পর্যুদস্ত করে ক্ষমতাও দখল করছে। এই শক্তি কখনও ধ্রপদী মার্কসবাদী-লেনিনবাদী অবয়ব নিয়ে উঠে আসছে অথবা তেমন কোনও চিহ্নবহনকারী না হয়েও বৃহৎ কর্পোরেট পুঁজির দৌরাত্মের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। গত ৩০ থেকে ৫০ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই ধরনের শক্তির ক্রম উদয়ে তাদের একটি প্রকোষ্ঠে বিচার করার সুবাদেই মূলত মিডিয়া ও রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের বাচনে তারা ‘বামপন্থী’ হিসেবে সূত্রায়িত হয়েছে। অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে, বামপন্থী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার জন্য কমিউনিস্ট হওয়ার আবশ্যিকতা নেই।

মোটা দাগে, বামপন্থী তারাই, যারা বৃহৎ পুঁজি চালিত কর্পোরেট স্বার্থকে উপেক্ষা করে শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে দাঁড়াবার প্রচেষ্টা (ভোটে জেতার জন্য হলেও) নেয়, বর্তমান রাজনৈতিক-অর্থনীতির পরিসরে বৃহত্তর মানুষের বেঁচে থাকার সমস্যাকে অগ্রাধিকারে রাখার চেষ্টা করে এবং সরকারে অধিষ্ঠিত হয়ে সেই লক্ষ্যেই কার্যসূচিকে বহমান রাখেফলে দেখা যায়, ঘোষিত সমাজতন্ত্রী বা কমিউনিস্ট শক্তিরাও এইসব শক্তির সাথে জোট তৈরি করে কখনও বা সবল শক্তি হয়ে উঠে কোথাও কখনও ক্ষমতাও দখল করতে সক্ষম হয়েছে এই সবটাই কিন্তু সম্ভবপর হচ্ছে বা হয়েছে সংসদীয় রাজনীতির চত্বরেই। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা বিশ্ব জুড়েই সংসদীয় ব্যবস্থা দেশে দেশে কায়েম হয়েছে বা পোক্ত হয়ে উঠেছে এবং এক সময়ে সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি অর্জনে বিশ্বাসী শক্তিরাও, নানা ধরনের সংসদীয় ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ক্রম আস্থা গড়ে ওঠার কারণে, ধীরে ধীরে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই ক্ষমতা দখলের সম্ভাব্যতাকে বাস্তবোচিত বলে মনে করেছে। এ অবশ্যই এক প্যারাডাইম শিফট। বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বা বাস্তবতা তার অভিঘাতের অনুশীলনে রাজনৈতিক বিবর্তনের মধ্য দিয়েও কতকটা এগোতে পারে। হয়তো, এমন এক সম্ভাব্যতাকে অনুমান করেই এঙ্গেলস মনে করেছিলেন, ইংলন্ডে শ্রমিকশ্রেণি শান্তিপূর্ণ বা সংসদীয় পথেই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারে।

এই পরিবর্তনকে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। সর্বাগ্রে এই কথাটি বলা যেতেই পারে যে, সংসদীয় ব্যবস্থাটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক বৃহৎ অংশের মানুষের কাছে ‘মন্দের ভাল’ অর্থে আস্থাশীল হয়ে ওঠার কারণে, প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলির পরস্পরের কাছে নির্বাচনে জিতে আসাটা একটা চ্যালেঞ্জস্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ, নির্বাচনে জনগণের স্রেফ আস্থা অর্জনের লক্ষ্যেই তাদের বাধ্যত নানাবিধ জনমুখি কার্যসূচির কথা বলতেই হয়। আর এই আস্থা অর্জনের প্রশ্নটি শুধুমাত্র জাতীয় স্তরে নীতি নির্ধারণের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে না। কারণ, সংসদীয় গণতন্ত্র স্বভাবতই জনগণের আকাঙ্ক্ষাস্বরূপ আরও বিকেন্দ্রিকৃত হয়ে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত আঞ্চলিক শাসনব্যবস্থাতেও (শহর-গ্রামের পঞ্চায়েত-পৌরসভা) প্রসারিত হয়েছে। ফলে, মানুষের দৈনন্দিন চাওয়া-পাওয়া, জীবনযাপন, সুবিধা-অসুবিধা সবই এই সংসদীয় ব্যবস্থার অঙ্গীভূত হয়ে একে এমন এক সর্বজনীন ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছে যে শাঁখের করাতের মতো যে কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে না থাকে এর কবল থেকে বেরবার কোনও রাস্তা, না থাকে এর মধ্যে একচ্ছত্র হয়ে থেকে যাওয়ার উপায়। অতএব, মানুষের সার্বিক মঙ্গলচিন্তার দ্যোতক হয়েই (অন্তত লোক প্রদর্শনের আলোকেও) রাজনৈতিক দলগুলিকে এই পরিসরে কাজ করে যেতে হয়।

কমিউনিস্টদের বিড়ম্বনা!?

এই একই পরিপ্রেক্ষিতে নানাবিধ বাম ও কমিউনিস্ট দলগুলিকেও এমনই এক ক্রমউত্থিত সংসদীয় গণতন্ত্রের আধারেই শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থবাহী রাজনৈতিক অনুশীলনকে চালিয়ে যেতে হয়। মার্কস-লেনিন-মাও’এর সময়কার রাজনৈতিক অনুশীলন থেকে কমিউনিস্টদের পক্ষে এ প্রকৃত অর্থেই ভিন্ন ও অভিনব। আর এখানেই যত সমস্যা ও ঝঞ্ঝাটেরও সূত্রপাত। কারণ, আজ বিশ্ব বিপ্লবের কোনও কেন্দ্র নেই, আর মান্য তেমন কোনও নেতাকুলও নেই যাদের চিন্তা-প্রসূত এই নব-অনুশীলন উদ্ভুত সর্বজনমান্য তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ আছে। বরং, ক্রমশই লক্ষণীয়, দ্রুত পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক অর্থনীতির আলোকে তথাকথিত সমাজতন্ত্রের বহু নিদান আজ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলি গ্রহণ করছে ও প্রয়োগেও সেগুলির বাস্তবায়ন হচ্ছে বহু সময়েই তাই, বাম ও অ-বাম দলগুলির মধ্যকার বিভেদরেখা ক্রমেই ম্লান হয়ে আসে। কমিউনিস্ট দলগুলি বাম-প্রকোষ্ঠে থাকার কারণে তাদেরও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতায় বিশিষ্ট করে সব সময়ে খেয়ালে পড়ে না। এখানেই তাদের স্বকীয় হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জটি সুপ্ত হয়ে আছে। তবে হতে পারে, উপরে যে বিবর্তনমূলক সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা বলেছি, তার অভিমুখটাই হয়তো এমনতর। কারণ, দেখে মনে হতে পারে, অ-বাম দলগুলিরও বাম হয়ে ওঠার রাজনৈতিক বাসনা বেশ জোরালো। অতএব, সবটা মিলিয়ে, এক হযবরল পরিস্থিতি। সে আলোচনা অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ।

মোদ্দা কথায় বলার এই, বামপন্থা আজ নানা অর্থে, নানা আঙ্গিকে এক বৃহত্তর রূপ ও মর্মবস্তু অর্জন করেছে। যেহেতু, সনাতনী, সেকেলে ও স্বল্পসংখ্যক লোকের জন্য যে রাষ্ট্র ও সামাজিক বিধান, তার বিপক্ষে যারা মাঠেঘাটে, সংসদে সোচ্চার হয়েছে, আন্দোলন গড়ে তুলেছে, তাদেরই বামপন্থী বলার একটা সর্বমান্য চল তৈরি হয়ে গিয়েছে; সেই আলোকে অনেক সময় অ-বাম বিরোধী শক্তি নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ও ক্ষমতা দখলের জন্য শক্তিবৃদ্ধির তাড়নায় বামপন্থী অবস্থানের কাছাকাছি সরে এসেছে অথবা বামপন্থার জনপ্রিয় কার্যসূচিগুলিকে আশ্রয় করেছে। এর মধ্যে অনৈতিকতা খোঁজার কিছু নেই। এ খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলিকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধি হিসেবেই প্রাসঙ্গিক থাকতে হয়। অতএব, তাদের দিক বদল খুবই স্বাভাবিক, এই অর্থেও যে, তারা বৃহত্তর মানবসমাজের স্বার্থকে অগ্রাধিকারে রেখেই রাজনৈতিক অনুশীলনে ব্যাপ্ত আছেতা কতটা ভড়ং আর কতটাই বা আন্তরিক- এর বিচার করার দায় ভবিষ্যতের। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কথায় ও কাজে জনস্বার্থের পক্ষে আছে, ততক্ষণ তাদের আসল উদ্দেশ্য বিচার করার ভার কোন দেবতা নেবে? একইভাবে, কোনও স্বঘোষিত বাম দল যদি কথায়, শ্লোগানে বামপন্থার বড়াই করেও কাজেকর্মে শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নেয়, তবে তাদের সম্পর্কেও বলা যেতে পারে যে তারা বামপন্থা থেকে দূরে সরে গেছে ও বৃহত্তর মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তা সাময়িক বিচ্যুতি হতে পারে আবার দীর্ঘকালীন কোনও ব্যামোও হয়ে উঠতে পারে।

(চলবে ... )


অনিন্দ্য ভট্টাচার্য । 'ফ্রন্টিয়ারে' হাতে শান দেবার পরে আওয়াজ তুলেছিলেন, 'মগজে দিন শান, নয়তো মিলিয়ে যান' । 'এককমাত্রা'র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক । কয়েক দশক ধরে বাঙালি বুদ্ধিমত্তাকে প্রতিনিয়ত সাপ্লাই করেছেন বৌদ্ধিক চর্চার অন্য পরিসর, ডিমান্ডের খবর না রেখেই । আত্ম-চ্যালেঞ্জেই রেখেছেন তাঁর কৃষ্ণ-অশ্বের মোক্ষম অবস্থান । এরই নাম বাজিমাত ।

No comments:

Post a Comment

We are waiting for your opinion. Please Comment.

Thank You.